
প্রয়াত হলেন ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত শিল্পী পন্ডিত যশরাজ। বয়স হয়েছিল ৯০৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর৷ সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে নিজের বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ পণ্ডিত যশরাজের পরিবার সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্যে ভারতে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রীর মতো একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন ‘পণ্ডিত জি’। রয়েছে বহু বিদেশি পুরস্কার ও সম্মানও। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা ছিল প্রথম থেকেই৷ সেই ভালবাসা থেকেই বাবা পণ্ডিত মতিরামের কাছে প্রথম তালিম নেন৷ গুজরাতের সানন্দ থেকে মেওয়াতি ঘরানার সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন যশরাজ। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় চলে আসেন পণ্ডিত যশরাজ। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় এসে পণ্ডিত যশরাজ রেডিওতে শাস্ত্রীয় সংগীত গাওয়ার তালিম দিতেন। গত বছর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পণ্ডিত যশরাজের নামে একটি ছোট গ্রহের নামকরণ করে। ৯০ বছরের এই ক্ল্যাসিক্যাল গায়কের নামে গ্রহটির নাম দেওয়া হয় ‘পণ্ডিত যশরাজ (৩০০১২৮)’। এই ছোট গ্রহটিকে ২০০৬-এর ১১ নভেম্বর খুঁজে পাওয়া যায়। মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝে একটি গ্রহাণুপুঞ্জে একটি ছোট গ্রহটির অবস্থান। সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইমের ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ নামে মিউজিকাল ড্রামার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ট্যুইটারে মোদির প্রতিক্রিয়া, ‘ভারতের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক গভীর শূন্যস্থান রেখে গেলেন৷’
কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত যশরাজের প্রয়াণে ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ট্যুইট করে তিনি লিখলেন, ‘পণ্ডিত যশরাজের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত৷ ভারতীয় সঙ্গীতে তাঁর অসীম অবদান, যা ভারতীয় সঙ্গীতকে শ্রেষ্ঠ স্থানে নিয়ে গিয়েছে৷ পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা৷’