
রেডিওতে ক্লাস নিতে চায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। রেডিওতে ক্লাস নেওয়ার কারণ হিসেবে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বা যে সব পড়ুয়াদের কাছে স্মার্টফোন নেই, তাদের কথা মাথায় রেখেই রেডিও মারফত ক্লাস নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে।”
সরকারি নাকি বেসরকারি রেডিও চ্যানেলে এই ক্লাস নেওয়া হবে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সম্ভবত অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথমের মধ্যেই। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য রাজ্যজুড়ে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেয় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রথমত বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল মারফত ক্লাস নেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, মিড ডে মিল-এর মাধ্যমে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুরু হয়েছে টেলিফোনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কোনও বিষয়ে কোথাও আটকে গেলেই একটি হেল্পলাইন নম্বর মারফত ফোন করলেই সেই বিষয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকা সহজেই উত্তর দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তার মধ্যেই অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে গ্রামাঞ্চলগুলিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকের কাছেই স্মার্টফোন না থাকার কারণে সেই সব ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়ছে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায়। আর সেই সব ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এবার নয়া উদ্যোগ হিসেবে রেডিওতে ক্লাস নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। যদিও এই বিষয় নিয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার কোন মন্তব্য করতে চাননি।
রেডিওতে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগকে অবশ্য স্বাগত জানাচ্ছেন শিক্ষাবিদরা। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এ মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে এই প্রসঙ্গ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।