
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর জানালেন চিনের নাগরিক চার্লি পেং-এর নির্দেশে ধৃত দুই ব্যক্তি নজর রাখছিল দলাই লামার গতিবিধির উপর। উল্লেখ্য, বেআইনি অর্থ লেনদেন চক্র চালানোর অভিযোগে এর আগেও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের হাতে ধরা পড়েছিলেন চিনা নাগরিক চার্লি পেং।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ পুলিশ এক চিনা মহিলা লান হো এবং সোনু বাংটুকে গ্রেফতার করেছে। সোনু বাংটু চিনা নাগরিক নাকি তিব্বতী রিফিউজি সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে এই দুই ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এস কে ট্রেডার্স সংস্থার তরফে টাকা ট্রান্সফার করেছেন চার্লি পেং। এর আগে সেনট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট টাক্সেস দফতর তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল। চার্লি পেং-এর কাছে জাল ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা খুলে বসে আছেন এই ব্যক্তি যার মাধ্যমে চিন ও ভারতের মধ্যে হাওলার টাকা লেনদেন করা হয়ে আসছে গত দু’-তিন বছর ধরে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে মণিপুরের এক মহিলাকে বিয়ে করে ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়েছিলেন পেং। রয়েছে বেশ কয়েকটি জাল আধার কার্ডও। আয়কর রেইডের সময়ে এই সব বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এই মুহূর্তে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং অন্যান্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা হো এবং বাংটুকে জেরা করছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলাই লামার বাসস্থান ধর্মশালায় নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ধর্মশালা থেকেই দলাই লামার নেতৃত্বে নির্বাসনে থাকা তিব্বতী প্রশাসনিক কাজকর্ম হয়।