
১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আনলক চতুর্থ পর্ব। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আনলক ৪-এই ফের চালু হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা। তবে এই পর্বে লকডাউন ঘোষণার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চাপাচ্ছে কেন্দ্র।
রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার আগে থেকেই মেট্রো রেল চালুর দাবি তুলেছিল। সেই দাবিতে সহমত কেন্দ্রীয় সরকার। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করা যাবে। দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন (DMRC) ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো চলবে। এছাড়াও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিনোদোনমূলক কর্মকাণ্ডে ১০০ জন যোগ দিতে পারবে। ক্রীড়াক্ষেত্রেও একশো জনের জমায়েতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ওপেন এয়ার থিয়েটার খুলবে। তবে এই পর্বে খুলছে না সিনেমা হল, সুইমিং পুল। কেন্দ্রের বন্দে ভারত মিশন ব্যতীত কোনও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু থাকবে না এই পর্বে। ১০০ জনের বিধিবদ্ধ ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। ১০ বছরের নীচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স যাদের, তাদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে কন্টেইনমেন্ট জোনে এখনও কোনও জমায়েত করা চলবে না। কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা চাইলে স্কুলে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে লাগবে অভিভাবকের লিখিত অনুমতি। ৫০ শতাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে অনলাইনে পড়ানোর জন্য ও টেলি কাউন্সেলিংয়ের জন্য স্কুলে হাজিরা দিতে হবে। কেন্দ্রের বন্দে ভারত মিশন ব্যতীত কোনও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু থাকবে না এই পর্বে।
তবে একটা ব্যাপারে সম্ভবত কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত তৈরী হওয়ার একটা জায়গা তৈরী হয়েছে লকডাউনের বিষয় নিয়ে। আনলক ৪-এর গাইডলাইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কনটেইনমেন্ট জোনে যেমন লকডাউন থাকছে তা চলবে। কিন্তু কোনও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে ইচ্ছেমতো লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না। গোটা রাজ্য, জেলা, মহকুমা, শহর এমনকী গ্রামীণ স্তরেও লকডাউন জারি করা যাবে না। লকডাউন জারি করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যই স্থানীয় স্তরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কখনও গোটা রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছে। কখনও আবার সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে কোনও শহর বা গ্রামে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আমাদের রাজ্যেও ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বরের ৭, ১১ ও ১২ তারিখ রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে নবান্ন। মোদী সরকারের এদিনের নির্দেশিকার পর ওই ৩ দিনের লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।