
বৃহস্পতিবার ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সমাধান খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে কোভিড মোকাবিলায় অনুদান হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি নজরে আসতেই নড়চড়ে বসেছে ট্যুইটার।
২৫ লাখ ফলোয়ার রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর এই অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলের। এই হ্যান্ডেলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট https://www.narendramodi.in/ এবং নরেন্দ্র মোদী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। হ্যাক করার পর ট্যুইটে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী জাতীয় রিলিফ ফান্ডে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অনুদান দিতে। উল্লেখ্য, জুলাই মাসের ১৬ তারিখ হ্যাকাররা তাবড় মার্কিন সেলিব্রিটি, শিল্পপতিদের নিশানা করে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন এত বড় মাপের হ্যাকিং এর আগে হয়নি। একে একে প্রেসিডেন্ট পদপার্থী জো বাইডেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সঙ্গীতশিল্পী কেনে ওয়েস্ট, শিল্পপতি বিল গেটস, মাইক ব্লুমবার্গের মতো ব্যক্তিত্বদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেওয়া হয়। একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো ট্যুইট ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছিল। গত বছর টুইটার সিইও জ্যাক ডরসির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টই হ্যাকারদের কবলে চলে গিয়েছিল। প্রায় ২০ মিনিট তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের দখলে ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়াকে বরাবরই পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তাও বেশ ভাল। বিশ্ব নেতাদের মধ্যেও এবিষয়ে তাঁর নাম রয়েছে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারে তাঁর ফলোয়ার ৬ কোটিরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়লেও নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই ট্যুইটার ব্যবহার করেন।