
বাকি আর মাত্র ১ দিন। বৃহস্পতিবার মহালয়া। তবে পিতৃতর্পনেও থাকতে হবে সতর্ক। নইলে করোনা আবহে বিপদ ধেয়ে আসতেই পারে। তাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গঙ্গার ঘাটে কেটে দেওয়া হবে দাগ। ভোর থেকেই মাইকে শুরু হবে ঘোষণা। আর্জি জানানো হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন আমজনতা সামিল হন তর্পণে। ঘাটে নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বছর মহালয়ার পর একমাস বাদে শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ। কাজেই পুজোর এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। এই সময় প্রশাসন চাইছে করোনা সংক্ৰমণ যাতে কিছুটা কম করা যায়। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে লালবাজারের সঙ্গে পুর কর্তাদের একদফা কথা হয়েছে, এমনটাই পুরসভা সূত্রে খবর। করোনার আবহে এ বার নববর্ষও পালন হয়েছে ছোট করেই। তর্পনের জন্য প্রতিটি ঘাটে একটি করে শিবির করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই শিবির থেকে বিনামূল্যে স্যানিটাইজার দেওয়া হবে তর্পণ করতে আসা মানুষের হাতে। ফি বছরই তর্পণ উপলক্ষ্যে কলকাতার ন’টি গঙ্গার ঘাটে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সে কারণেই সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে যে যে ঘাটে, সেখানে বাড়তি লোক মোতায়েন রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। এই ঘাটগুলি হল, বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট, জাজেস ঘাট। প্রয়োজন পড়লে এই ঘাটগুলিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ পুলিশ মোতায়েনের কথাও পুরসভার তরফে লালবাজারকে জানানো হয়েছে। জলে দুর্ঘটনা ঠেকাতে বির্পযয় মোকাবিলা বাহিনী এবং ডুবুরিদের মোতায়েন রাখার ব্যবস্থাও থাকছে। প্রত্যেক পুরোহিত বা তর্পণকারী মুখে যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, সেই অনুরোধও করবে পুলিশ। এছাড়াও পুরসভা সূত্রে খবর, অন্তত ছ’ফুট দূরত্ব মেনে যেন সাধারণ মানুষ তর্পণে সামিল হন, সে বার্তা প্রশাসনের তরফে ওই দিন সকাল থেকেই দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে মূলত তর্পণের দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। সরকারি সূত্রে খবর, মহালয়ার ভোরে ঘাটগুলিতে আসা আমজনতা যাতে সুরক্ষার সঙ্গে তর্পণ শেষ করতে পারেন সে বিষয়ে যাবতীয় আয়োজন তৈরি রাখতে পুর আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন পুর প্রশাসক।