
রাফাল ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বারাণসীর শিবাঙ্গী সিং। প্রশিক্ষণ শেষে পঞ্জাবের আম্বালা এয়ারবেসে রাফাল ওড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ভারতীয় বিমান বাহিনীর গোল্ডেন অ্যারোজ স্কোয়াড্রনে যোগ দেবেন তিনি। এতদিন তিনি যেহেতু মিগ-২১ ওড়াতেন তিনি, তাই এবার রাফাল ওড়ানোর আগে ভারতীয় বায়ুসেনার নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে।
বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করেন শিবাঙ্গী সিং। ২০১৭-য় দ্বিতীয় ব্যাচে মহিলা ফাইটার পাইলট হিসেবে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হন। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিং এর আগে রাজস্থানের ফরওয়ার্ড ফাইটার বেসে পোস্টেড ছিলেন। মিগ-২১ বাইসন ওড়াতেন শিবাঙ্গী। সেখানে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ান তিনি। ঘটনা হল এতদিন মিগ-২১ চালানোর অভিজ্ঞতা থাকায় রাফাল চালাতে বিশেষ কোনও সমস্যাই হবে না শিবাঙ্গীর। বিশ্বের সমস্ত যুদ্ধবিমানের মধ্যে ভারচুয়ারি ল্যান্ডিং ও টেক-অফ স্পিড সবচেয়ে বেশি মিগ-২১ এর, যা কিনা ঘণ্টায় ৩৪০ কিলোমিটার। কিন্তু তবুও নিয়ম অনুসারে একটি প্রশিক্ষণ পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দেশের সবচেয়ে পুরনো যুদ্ধবিমান থেকে একেবারে নবতম যুদ্ধবিমান ওড়াতে দেখা যাবে তাঁকে।
ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে বর্তমানে ১০ জন মহিলা ফাইটার পাইলট রয়েছেন। সুপারসনিক জেট ওড়ানোর প্রশিক্ষণ রয়েছে এদের সবার। আইএফএ-র একজন পাইলটকে সুপার সনিক জেট ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দিতে ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় প্রশিক্ষণের পরে প্রথম মহিলা ফ্লাইং অফিসারের শিরোপা পান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবণী চতুর্বেদী, ভাবনা কান্থ এবং মোহনা সিং। তারপর থেকেই প্ৰথা ভেঙে মহিলারা এগিয়ে আসছেন যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য।