
বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লক থেকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। প্রথমে লকডাউন, তারপরে বর্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পুজোর আগেই রাস্তা সারিয়ে ফেলতে হবে। এই সকল বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা।
এই প্রকল্পের মূল কাজ হল ১২ হাজারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা পুনর্গঠন করা। যা বাংলার গ্রাম সড়ক যোজনার অন্তর্গত হবে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শেষ করে ফেলেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেন, চলতি বছরের মধ্যেই রাস্তার হাল ফেরাতে হবে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের সচিব এম ভি রাও, এই প্রকল্প ও কাজের গতি দুই বিষয়েই অবহিত করে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে চাইছে দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বিভাগ। আজ, বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে এই কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। জেলা পরিষদ-সহ অনেক রাস্তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তার সব কিছুই এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হবে। এই প্রকল্প যেখানে যেখানে শুরু হবে, সেখানে রাস্তার নাম নির্দিষ্টভাবে লেখা থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রধান রাস্তা যা পূর্ত দফতর রক্ষণাবেক্ষণ করছে সেই কাজও দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল করার ফলে রাস্তার ওপর বেশি লোড পড়ছে। ওভারলোডিং-এর কারণে আরও রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় স্তরে এ ব্যপারে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।