
চালু হল কলকাতা কানেক্ট পর্যটন ২০২০। ১৯২৬ সাল থেকে ২০০৫। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই যানটি কলকাতার মানুষের নস্টালজিয়া ছিল তা বলাই বাহুল্য। ১৫ বছর পর ফিরল দোতলা বাস। যদিও গণপরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবেনা এই বাস কিন্তু কলকাতা পর্যটনে বিশেষ ভূমিকা নেবে এটি তা বলাই যায়।
আজ নবান্নের সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন নতুন ধাঁচের দুটি দোতলা বাসের। কলকাতার বিভিন্ন বিশিষ্ট জায়গায়, হেরিটেজ সাইটে এই বাস যাবে। বাসে থাকবেন রাজ্যের লোকশিল্পীরা। এই বাস শহরের সমস্ত পর্যটন ক্ষেত্র ছুঁয়ে যাক তেমনটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, রাইটার্স, কারেন্সি বিল্ডিং, লালদিঘি, হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু থাকবে এই তালিকায়। নবান্ন কেন বাদ যাবে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজেই বিশেষ জায়গার তালিকায় থাকবে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নও।

মহানগরী কলকাতাকে নতুন করে চেনাতে শহরে ভ্রমনের জন্য সূচনা করা হচ্ছে এই দোতলা বাসের। বাসের আসন সংখ্যা থাকছে ৫১। ভ্রমনপিপাসু ববাঙালি এই দোতলা বাসে চেপে পুজো পরিক্রমাও করতে পারবেন।এদিন দোতলা বাসের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন দুটো করে বাস চলবে আপাতত। সকাল ১০.৩০ ও সকাল ১১.৩০টায় বাস ছাড়বে, শেষ হবে দুপুর আড়াইটের সময়।’ সেইসঙ্গেই তিনি জানান, ‘এই বাসের জন্যে অনলাইনে বুকিং করা যাবে। এই বাসের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে।’ কলকাতা লন্ডন না হলেও, লন্ডন সিটি ট্যুরের আদলে শহর ঘোরার জন্যই আনা হল এই হুড খোলা দোতলা বাস।

অত্যাধুনিক এই বাসে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা, চওড়া সিঁড়ি, মেট্রোর মতো গন্তব্য–চিহ্নিত বোর্ড, প্যানিক বটন, সিসি টিভি ইত্যাদি। অত্যাধুনিক এই দোতলা বাসগুলি তৈরি করেছে জামশেদপুরের সংস্থা বেবকো। হুড-খোলা এই বাসের দোতালায় সিট ১৭টি। সেগুলি অবশ্যই খুব আরামদায়ক। ধাপে ধাপে এরকম আরও ১০টি দোতলা বাস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পরিবহণ দফতর।