
যে কোনও ভারতীয় এবার থেকে জমি কিনতে পারবেন জম্মু-কাশ্মীরে। সাধারণ জমি আইন মেনেই যে কেউ ভূস্বর্গে জমি কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকেই সর্বসাধারণের জন্য জমি কেনার ছাড়পত্র কবে পাওয়া যাবে তাই নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এদিন তার সুরাহা হয়ে গেল। আজ, মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷
কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউনিয়ন টেরিটরি অফ জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর রিঅর্গানাইজেশন (অ্যাডপশন অফ সেন্ট্রাল ল) থার্ড অর্ডার,২০২০ অনুযায়ী সেখানে জমি কিনতে পারবেন যে কোনও ভারতীয়। শুধু তাই নয়, দেশের যে কোনও জায়গায় জমি কিনতে গেলে যে আইন মানতে হয়, এখানেও তার কোনও অন্যথা হবে না। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ সংশোধন হওয়ার পর থেকেই তা কার্যকর করা হবে। কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশের ব্যাখ্যা হিসেবে জেনারেল ক্লসেস অ্যাক্ট, ১৮৯৭ (general clauses act)-এর উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে জম্মু কাশ্মীরের ২৬টি রাজ্য আইন বাতিল করেছে কেন্দ্র৷ তবে নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত না হলে জম্মু কাশ্মীরে কৃষি জমি কেনা যাবে না৷ কৃষি জমিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে৷
৩৭০ ধারা লোপ করার কিছু দিনের মধ্যেই ১৯৭১ সালে জারি এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরে জমি কেনার জন্য এখন থেকে আর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নিতে হবে না সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ, বিএসএফের মতো সামরিক এবং আধাসামরিক বাহিনীগুলিকে। এবারে আপামর ভারতবাসীর জন্যেও কাশ্মীরে জমি কেনা এখন পুরোপুরি সহজ হয়ে গেল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ৷ তাঁর মতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ছোট ছোট জমির মালিকরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগবেন।