
রাজ্যের পরিবেশকর্মীরা কালীপুজো-দিওয়ালি-ছটে সার্বিক ভাবে বাজি বন্ধের জন্যে হাইকোর্টে গেলেন। এর পাশাপাশি এদিন নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে বায়ুদূষণ মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই কালীপুজোয় বাজি ফাটাবেন না। করোনা আবহে বাজি থেকে দূরে থাকুন।’ মুখ্যসচিব এদিন আরও জানান, ‘দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোর মণ্ডপের চারপাশ যেন খোলা থাকে। আপনার আনন্দ যেন অন্য কারও ক্ষতি না করে। সকলে মাস্ক ব্যবহার করুন। আর বিসর্জনে কোনও শোভাযাত্রা এবার করা যাবে না।’ অপরদিকে, বায়ুদূষণে জর্জরিত দিল্লিতেও উৎসবের মরসুমে সমস্ত রকম বাজির ব্যবহার বন্ধে জাতীয় পরিবেশ আদালতেও অন্য একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে বাংলায় চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই সব রকম বাজি বন্ধে চিঠি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পুজোমণ্ডপ নো-এন্ট্রি করা ও বাজি নিষিদ্ধ করতে অন্য একটি জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে। সেখানে বড়দিনেও উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি হতে পারে বৃহস্পতিবার। অপরদিকে, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে এই বছরের জন্যে সব রকম বাজির উৎপাদন, বিক্রি, ব্যবহার বন্ধ করার আবেদন করেছেন। আসলে আসন্ন দীপাবলি উপলক্ষে বাজি পোড়ানো যে একেবারেই উচিত হবেনা, তার জন্য আওয়াজ উঠছে বিভিন্ন দিক থেকে। এমনকি, প্রশাসনও এ ব্যাপারে তৎপর হয়েছে যাতে বাজি পোড়ানো না হয়, তা কার্যকরী করার জন্য।