
অমিত শাহ তাঁর নিজের সাম্প্রতিক সফরে এসে বাংলায় ভোটের দামামা যে বাজিয়ে দিয়ে গেছেন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আসন্ন বিধানসভা ভোটে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইয়ে সামিল হতে চলেছে বিজেপি। বিহার নিজেদের করায়ত্ত করার পর যেন তেন প্রকারেণ বাংলায় নিজেদের ঘাঁটি গড়তে তাই আর বঙ্গ নেতৃত্বের ওপর ভরসা না করে রাশ নিজেদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপরেই রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। সেই জন্যেই বঙ্গবিজেপির দায়িত্বে পঞ্চপান্ডব|
সোমবার রাতেই কলকাতায় চলে এসেছিলেন বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্য, সুনীল দেওধর, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। মঙ্গলবার দলীয়স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পাঁচটা সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। ১৮-২০ নভেম্বর ওই পাঁচ নেতা দফায় দফায় বৈঠক করবেন বাংলায়। সেই বৈঠকের রিপোর্ট যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়ে যাবে বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ এদিনের বৈঠকে ঘোষণা করা হয়, কলকাতা জোনের দায়িত্বে থাকবে দুষ্যন্ত গৌতম৷ মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে দেওয়া হল সুনীল দেওধরকে৷ বিজেপির রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে বিনোদ সোনকর ৷ নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে থাকবেন বিনোদ তাওড়ে এবং উত্তরবঙ্গে বিজেপির দায়িত্বে হরিশ দ্বিবেদী৷ এছাড়া আইটি সেলের কর্মকাণ্ড দেখবেন অমিত মালব্য৷ গত ১৩ দিনে এই নিয়ে ৩ দফায় বৈঠক করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা৷ তিন দিনের বৈঠকের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে আবার ৩০ নভেম্বর রাজ্যে আসতে পারেন অমিত।
সম্প্রতি অমিত শাহের বঙ্গ সফরে সঙ্গে এসেছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএল সন্তোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিহারে এনডিএ জোটের জয়ের নেপথ্য কারিগর এই সন্তোষই। অর্থাৎ রাজ্যের পিকে -র চালকে মাত দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন সন্তোষ। বিজেপির এই রণকৌশল নিয়ে পালটা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর মতে বঙ্গ বিজেপিতে তেমন কোনও ভরসাযোগ্য নেতাই নেই, তাই বাইরে থেকে অমিত, সুনীলরা আসছেন রণকৌশল ঠিক করতে।