
শহরের দুই প্রধান জায়গায় ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞার রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানান, দু বছর আগেই এ বিষয়ে এনজিটি যা নির্দেশ দেওয়ার, দিয়েছে। অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশই যে বহাল থাকছে তা নিশ্চিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অপরদিকে, সুভাষ সরোবরে ছট পুজোর ব্যবস্থা করার জন্যে রাজ্যের তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল, তাও খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বক্তব্য, শহরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ জলাশয় একইভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পুণ্যার্থীরা রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরের জলে নেমে পুজো করে। এর পর দু’টি জলাশয়ে প্রচুর জলচর প্রাণীকে মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখা যায়। আসলে শহরের মাঝখানে এই দুই সরোবর প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার অনেকটাই সামলে দেয়। সেক্ষেত্রে ধর্মীয় আচার-আচরণের ফলে উদ্ভূত বর্জ্য পদার্থ যথেষ্ট ক্ষতি করে জলাশয়ের। এই বিষয়ে বহুদিন থেকে সরব বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। যদিও আদালতের কথা মাথায় রেখে ছটপুজোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কলকাতার ১৬ টি জলাশয়ে ৪৪টি কৃত্রিম ঘাট তৈরি করেছে কেএমডিএ। অন্যদিকে, পুরসভাও ৪৮ টা কৃত্রিম ঘাট এবং ত্রিধারা মডেলে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, গঙ্গার তীরে আরও ৪০ টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। কেএমডিএর সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘মহামান্য আদালত দুটি সরোবর নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনে আমরা সব কিছু ব্যবস্থা নেব।’