
১) আশঙ্কা ছিল কালীপুজো বা দীপাবলির রাতের বাজি পোড়ানোর ফলে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কিন্তু সেটা না হলেও ছটের আগে হঠাৎই বাতাসের দূষণে দিল্লিকে টপকে গেল কলকাতা! বুধবার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মনিটরিং স্টেশনগুলির তথ্য বলছে, কলকাতার প্রায় সব জায়গাতেই দূষণ-সূচক খারাপ বা খুব খারাপের তালিকায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রেকর্ড বলছে, এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ রবীন্দ্রভারতী মনিটরিং স্টেশনে দূষণ সূচক ছিল ৩৫০-এর কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় তা সর্বোচ্চ ৩৯২-য়ে পৌঁছেছিল। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, যাদবপুর, বিধাননগর, বালিগঞ্জ এলাকায় তা ছিল আড়াইশোর বেশি বা কাছাকাছি। রবীন্দ্র সরোবরে ছিল ২০০-এর বেশি।
২) ২৭ জন প্রবাদপ্রতীম শিল্পীকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠাল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এমিনেন্ট আর্টিস্ট’-এর কোটায় প্রবাদপ্রতীম শিল্পীরা দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় মাসিক খুব অল্প টাকায় যাকে বলে ‘লাইসেন্স ফি’-এর বিনিময়ে বাড়ি পেয়েছিলেন৷ কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই শিল্পীদের বাড়িতে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং তা নতুন করে এক্সটেনশন হবে না৷ নোটিসে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে৷ তালিকায় রয়েছে, প্রবাদপ্রতিম নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজ, চিত্রশিল্পী যতীন দাস, সন্তুরবাদক ভজন সোপারি, মোহিনীঅট্টম শিল্পী ভারতী শিবাজীর মতো নাম৷
৩) মালদহের সুজাপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বৃহস্পতিবার সকালে একটি প্লাস্টিক কারখানার ভিতর এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৪ শ্রমিকের। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও ৫ জনকে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মোট জনা পঞ্চাশেক শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করতেন। এদিন সুজাপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া প্লাস্টিক কারখানায় তাঁরা কাজ করছিলেন। কাজ চলাকালেই একটি ক্রাশার মেশিন সশব্দে ফেটে যায়। বিস্ফোরণের জেরে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় ওই পাঁচ শ্রমিকের। কর্মরত শ্রমিকেরা ওই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের আধিকারিকেরা পৌঁছেছেন। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।