
মেদিনীপুরে হাইভোল্টেজ সভা থেকে বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ৷ টাকা ছড়িয়ে দেশে দল ভাঙছে, সরকার ভাঙছে বিজেপি ৷ বাংলাতেও একইপন্থা নিয়েছে তারা ৷ কিন্তু টাকা ছড়িয়ে ভাঙা যাবে না তৃণমূল বললেন এদিন তিনি। মমতা এদিনের সভা থেকে আরও বলেন, ‘বহিরাগতরা এসেছে, টাকা বিলোচ্ছে, কিন্তু কোনওভাবে কিনতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে।’ তবে জনসভায় অধিকারী পরিবারের নামই তোলেননি নেত্রী। দল যে কারও অপেক্ষায় বসে নেই, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দুর নাম না নিলেও মমতা বুঝিয়ে দেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তৃণমূল এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে৷ ১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর কীভাবে লড়াই করতে হয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী৷ এদিনের জনসভায় তিনি বার্তা দিলেন, “বিজেপি দল ও বিজেপি দলের যারা বন্ধু, তাদের কাছে পরিষ্কার করে বলবো, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আর যাকে পারেন জব্দ করতে পারেন করুন, তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না।” মমতার বার্তা, ‘‘বিজেপির কাছে সব আছে। কিন্তু তৃণমূলের মতো কর্মী নেই।’’
অপরদিকে সোমবার মেদিনীপুরের সভা থেকে তিনি জানালেন যে, কৃষকদের পাশে তিনি রয়েছেন৷ আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কৃষি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে কৃষক সংগঠনগুলি ভারত বনধের ডাক দিয়েছে, তাদের পাশে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ কৃষি আইন প্রত্যাহরের দাবি আগেই জানিয়েছিলেন মমতা৷ জিনিসের মূল্য় বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে এদিনও একহাত নেন তিনি৷ কৃষি, বেসরকারিকরণ-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতি নিয়ে সোমবার একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। তৃণমূলনেত্রীর নিশানায় মুখ্যত বিজেপি থাকলেও, রাজ্যের আরও দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেসকে গেরুয়াশিবিরের মদতদাতা বলেও বিঁধেছেন তিনি আজকের জনসভায়।
মমতার আশ্বাস, পূর্ব মেদিনীপুরে তাজপুর বন্দর, বীরভূমে দেউচা-পাচামির মতো কয়লা প্রকল্পে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। তার সুফল জঙ্গলমহলও পাবে বলে জানিয়েছেন মমতা। সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মমতার সভা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এছাড়াও উল্লেখ্য, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠতে পারেন ছত্রধর মাহাতো তা এদিনের জনসভায় ছত্রধরের উপস্থিতি আরও একবার মনে করিয়ে দিল।