
আজ মেদিনীপুরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকছেন ছত্রধর মাহাতো। এমনটাই জল্পনা ছিল, সেটাই সত্যি করে আজ উপস্থিত থাকছেন ছত্রধর। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক সভায় যোগদান করছেন তিনি। এদিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার সকালে ফের মেদিনীপুর শহরের এলআইসি মোড়, লাইব্রেরি রোড সহ একাধিক জায়গায় চোখে পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার, ব্যানার। মুখ্যমন্ত্রীর কাট আউট, ব্যানারের পাশেই ঠাঁই হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টারগুলির। ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী৷’ তবে এই ব্যানারগুলি কারা দিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। রবিবার কোথাও কিন্তু চোখে পড়ছিল না শুভেন্দুর পোস্টার বা কাট-আউট।
কখনও জনসভা বা কখনও প্রশাসনিক বৈঠক উপলক্ষে ২০১১-তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে অন্তত বার তিরিশেক তিনি এই জেলায় এসেছেন। কিন্তু এদিনের সভা রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা মাত্রা পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। দলীয় সূত্রের খবর, মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই থাকছেন না অধিকারী পরিবারের কোনো সদস্যই। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর এই ব্যানার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছনোর পর রাতে এক এক করে বেশ কয়েকজন জেলা নেতাকে ডেকে কথা বলেন নেত্রী। যদিও এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে মেদিনীপুর থেকেই জেলাস্তরে দলের ভোট প্রচার শুরু করে দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই সভায় জড়ো হয়েছেন প্রচুর মানুষ।
বেলা ১.০০ টা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় পৌঁছনর কথা। তার পরই শুরু হবে মেদিনীপুরের সভা। দুপুর ১২.৩০ অব্দি পাওয়া খবর অনুযায়ী সভায় দলের উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তথা জেলা নেতৃবৃন্দ পৌঁছে গিয়েছেন। রয়েছে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। জেলাস্তরের প্রথম ভোট প্রচারে কী দিশা দেখাবেন তৃণমূল নেত্রী তা নিয়ে আগ্রহী সকল স্তরের মানুষ।