
১) কোভিড বিপর্যয় কাটিয়ে খুলে গেল পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের দরজা। সাধারণ মানুষকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মহাপ্রভু দর্শনের জন্য। আপাতত শুধু স্থানীয় ভক্তই প্রভুর দর্শন করতে পারবেন। এতদিন শুধুমাত্র ন্যূনতম সংখ্যায় সেবায়েতরাই নির্ঘণ্ট মেনে দেবসেবার জন্য মন্দিরে ঢুকতে পারতেন। ৩১ ডিসেম্বর অব্দি রোজ খোলা থাকলেও জানুয়ারি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন মন্দির বন্ধ রাখা হবে। আবার ৩ জানুয়ারি থেকে মন্দিরের দরজা খুলবে সাধারণের জন্য। প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন ৫ হাজার করে দর্শনার্থী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। এরপর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দর্শনার্থীর সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মন্দির কমিটির। কোভিড বিধি মেনেই জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে হবে দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব বিধি। মন্দিরের ভিতরে ও বাইরে উভয় চত্বরেই নির্দিষ্টভাবে এই বিধি প্রযোজ্য হবে।
২) দেশের বিমানবন্দরে ফিরছে মহামারী-কালের শুরুর দিকের যাবতীয় বিধিনিষেধ। কেন্দ্রের তরফে প্রকাশ করা নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি)। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৫ নভেম্বরের পর ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরা প্রত্যেককে ট্রাভেল হিস্ট্রি জমা করতে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরেই আরটি-পিসিআর টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পরীক্ষা করার পর ব্রিটেন ফেরত ২০ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেককেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। নতুন ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে তথ্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্ন উঠছে টীকার কার্যকারিতা নিয়ে। তবে মঙ্গলবার এই মর্মে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য, দেশের টিকা সংক্রান্ত এক্সপার্ট কমিটির দায়িত্বে থাকা বিনোদ পল।
৩) স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের সূচনা হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসতে পারেন। তার আগে ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিনে ফের রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। যদিও মোদী-শাহ জুটির ১০ দিনের ব্যবধানে সম্ভাব্য বাংলা সফরকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। সৌগত রায়ের কটাক্ষ, ‘এই সব দেখে আমাদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে।’