
রাজ্য সরকারের তৈরী করা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী কমিটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠক হল সোমবার। ২৩ জানুয়ারি দিনটি ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ওই দিনটি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবিও ফের এক বার তুললেন তিনি। সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নেতাজির পৌত্র সুগত বসু, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। হাজির ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও।
সোমবারের বৈঠকে নেতাজির নামে ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ মনুমেন্ট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি তাঁর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছেন। নেতাজিকে রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরতে তৃণমূল স্তর থেকে নানা পরিকল্পনাও করা হয়েছে। বৈঠকে উঠে এসেছে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা। ২৩ জানুয়ারি ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালিত করার পরিকল্পনা করা হয়। বৈঠকে স্থির হয়েছে ২৩ জানুয়ারি বেলা ১২.১৫-তে রাজ্য জুড়ে সাইরেন বাজানো হবে। এছাড়াও ওই দিন বাড়ি বাড়ি শঙ্খধ্বনি এবং উলু দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন মমতা। শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হবে ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ এমনটাই ভাবা হয়েছে। নেতাজির জীবন নিয়ে তৈরি হবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। রাজারহাটে নেতাজির নামে মনুমেন্ট তৈরী করা যেতে পারে এমন পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর নেজাতির জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, নেতাজির পরিবারের সদস্য, বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ, লেখক এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিরাও ওই কমিটিতে থাকবেন। এছাড়াও ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে আসার কথা। আজকের বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা নিজেদের মতামতও ব্যক্ত করেন।