অবসান হল একটি যুগের
কলকাতা, ৯ অগাস্ট, ২০২৪: শেষ হল বুদ্ধদেবের অন্তিমযাত্রা। বিকেল ৫টার পর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ পৌঁছয় এনআরএস হাসপাতালে। চিরদিনের মতো লোকচক্ষুর অন্তরালে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একটি যুগের অবসান। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় অপর দুজনের চোখে। দৃষ্টিশক্তি পেয়েছেন তাঁরা।
বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের বাম নেতা-কর্মীরা। বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিধানসভার বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। সেই ভিড়ে ছিলেন বিধানসভার প্রাক্তন কর্মীরাও। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়, বিমান বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। লম্বা লাইন পড়েছিল সিপিএমের রাজ্য দফতরের বাইরে। শেষ শ্রদ্ধা জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে চিঠি দিয়ে শোকপ্রকাশ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার আলিমুদ্দিন থেকে সাড়ে ৩টের সময় রওনা দিয়ে সাড়ে ৪টের সময়েও ডিওয়াইএফআই দফতরে পৌঁছতে পারল না শববাহী শকট। রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষা করছিলেন বুদ্ধদেবকে শেষ দেখা দেখবেন বলে। ভিড়ের কারণে খুব ধীর গতিতে এগোয় গাড়ি। থিকথিকে ভিড়ে দীনেশ মজুমদার ভবনে দেহ নামানোই যায়নি। কিছু ক্ষণ সেখানে দাঁড়ানোর পর ভিড় ঠেলে ফের এগোয় শববাহী শকট।
২০০৬ সালের ৮ মার্চ তাঁর চক্ষু ও দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই করেছিলেন। ৬২বছর বয়সে তিনি চক্ষুদান ও মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করেছিলেন। দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সাক্ষী হিসাবে সই করেছিলেন মদন ঘোষ ও নিরুপম সেন। সেই মতো তাঁর পরিবারের তরফে তাঁর চক্ষু তুলে দেওয়া হয়। দেহ দান করার প্রক্রিয়াও চলছে নিয়ম অনুযায়ী।
Comments