আজ মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা লোকসভায়
২০ সেপ্টেম্বর: মহিলা সংরক্ষণ বিল ক্যাবিনেটে ধ্বনি ভোটে গতকালই পাশ হয়ে গেছে। আজ অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের তরফে সোনিয়া গান্ধী বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেছেন, কংগ্রেস এই বিল সমর্থন করবে। তবে বিলটি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনে পরিণত করার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় সরকার, তারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সোনিয়ার কথায়, রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন অধরা রয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, রাজীবের আমলে রাজ্যসভায় সাত ভোটের জন্য পাশা করা সম্ভব হয়নি এই বিল। কংগ্রেসের আরও দাবি, জাতিভিত্তিক জনগণনা করে SC, ST-র সঙ্গেই OBC মহিলাদেরও এই বিলে অন্তর্ভূক্ত করা হোক।
মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন রয়েছে তৃণমূলের। বুধবার লোকসভায় বিলটি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলবেন কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং মহুয়া মৈত্র। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই বিলের আলাদা কোনও সুফল নেই। কারণ, বাংলার মানুষ রাজ্যে মহিলা জনপ্রতিনিধি দেখে অভ্যস্ত- জানাচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি আজ শর্তসাপেক্ষে ওই বিল ‘সমর্থনে’ এগিয়ে এসেছেন আরজেডির রাবড়ী দেবী, বিএসপির মায়াবতী, এসপি-র ডিম্পল যাদবেরা। অতীতে এসপি-আরজেডির মতো দলগুলি ওবিসি সমাজের মহিলাদের সংরক্ষণের দাবিতে সরব হয়ে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ ভেস্তে দিয়েছে। তবে শর্তও রেখেছে এই দলগুলি। তাঁদের দাবি, সংরক্ষণের মধ্যে ওবিসি, দলিত ও পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মহিলাদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণ দিতে হবে সরকারকে। তাঁদের যুক্তি, ওই সংরক্ষণ না দিলে তথাকথিত উচ্চবর্ণের শিক্ষিত মহিলাদের সঙ্গে ভোটের ময়দানের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বেন গ্রামের অনগ্রসর মহিলারা।
তবে বিজেপি যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এবং যেহেতু কংগ্রেস ও বামেদের ওই বিলের প্রতি সমর্থন রয়েছে, তাই ওই বিল সংসদের উভয় কক্ষে অনায়াসে পাশ হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
留言