এসএসসি র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায়দান স্থগিত

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে শেষ হল এসএসসি র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। তবে এদিনও সংশয়াতীতভাবে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার কোনও পদ্ধতি আদালতকে জানাতে পারেনি কেউ। রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার মামলার শুনানি পর্ব শেষ করার আগে এ কথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।
সিবিআই জানাল, তারা চাইছে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়ই বহাল থাকুক। এদিকে সরকার পক্ষ জানাল, এত জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সিবিআই সোমবার জানায়, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে তারা। এই মামলায় অন্যতম সমস্যা হল যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করার ক্ষেত্রে সমস্যা। কত জন যোগ্য এবং অযোগ্যকে বাছাই করা হয়েছে, তা নিয়ে এসএসসিকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তাতে কমিশনের আইনজীবী জানান, ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ এবং প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই।
প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআই আদালতকে জানায় নাইসা কর্তা সঞ্জয় বনসলের বাড়ি থেকে যে ডেটা পাওয়া গিয়েছিল তার সঙ্গে তাদের কাছে থাকা ডেটার মিলে গিয়েছে। ফলে সঞ্জয় বনসলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডেটাকে নির্ভুল বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সিবিআইয়ের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন একাধিক আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে ফের পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন।
এদিন কারও বক্তব্যেই নতুন কিছু উঠে এল না। এদিনের শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখেন প্রধান বিচারপতি। এ বার কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, সকলের নজর সে দিকেই।
תגובות