জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল কলকাতায়

কলকাতা, ৪ মার্চ, ২০২৫: মঙ্গলবার জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল কলকাতায়৷ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কয়লা ও খনি মন্ত্রী জি. কিশান রেড্ডি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পি.এম. প্রসাদ (CMD, কয়ল ইন্ডিয়া লিমিটেড), ঘনশ্যাম শর্মা (CMD, হিন্দুস্তান কপার লিমিটেড), অতিরিক্ত উপ-কম্পট্রোলার ও মহা-নিরীক্ষক (খনিজ) যশোধরা রায় চৌধুরী, ভারতীয় মিউজিয়ামের পরিচালক এ.ডি. চৌধুরী, GSI-র মহাপরিচালক অসিত সাহা, ADG ও HoD ডঃ জয়দীপ গুহ, ADG (PSS) ডঃ জয়েশ বাগচী সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও অবসরপ্রাপ্ত GSI কর্মচারীরা।
পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মাননীয় মন্ত্রী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর তিনি ১৭৫তম প্রতিষ্ঠা বর্ষ উপলক্ষে একটি স্মারক ফলক উন্মোচন করেন। ম্যাপ গ্যালারি, বিভিন্ন প্রদর্শনী ও স্টলও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী, যেখানে GSI-র অসামান্য সাফল্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া কয়ল ইন্ডিয়া লিমিটেড, হিন্দুস্তান কপার লিমিটেড, Esri India, Datacode, IIT-ISM, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলগুলিও তিনি ঘুরে দেখেন। GSI-র খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি এবং বলেন যে, GSI-র উদ্যোগগুলি ভারতের আত্মনির্ভর খনিজ নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ (Viksit Bharat 2047)-এর লক্ষ্যে সহায়ক হবে।
১৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস শুধুমাত্র GSI-র ভূতাত্ত্বিক গবেষণা ও খনিজ অনুসন্ধানে অবদানের কথাই তুলে ধরেনি, বরং ডিজিটাল রূপান্তর ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যতের ভূবিজ্ঞান গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
এই সংস্থা আন্তর্জাতিক স্তরেও কাজ শুরু করেছে। ভূ-বৈজ্ঞানিক গবেষণা, খনিজ অনুসন্ধান-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা এবং তার প্রতিকার বিষয়ে নানা গবেষণা শুরু করেছে ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতেও বিভিন্ন খনিজের সন্ধানে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা কারণ জানতে কাজ চলছে ৷ মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে বিভিন্ন খনিজের সন্ধানে কাজ চলছে ৷ পানীয় জলে আর্সেনিকের সন্ধান এবং তার কারণ ও প্রতিকার বিষয়েও নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কাজ হচ্ছে ৷ মেদিনীপুরে সোনা এবং অন্যান্য খনিজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙন এবং আর্সেনিক পাওয়ার কারণ কী, সে বিষয়ে জানতে গবেষণা চলছে ৷ সম্প্রতি খনি মন্ত্রক 'ন্যাশনাল ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশন' চালু করেছে ৷ এর সঙ্গে জিএসআই নানান খনিজ অনুসন্ধানের উপর জোরদার জোর দিয়েছে ৷ ২০২৪- ২৫ এবং ২০২০- ৩১ অর্থবর্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনুসন্ধানের জন্য ১ হাজার ২০০কোটি প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েছে জিএসআই ৷
Commentaires