top of page
Writer's pictureThe Conveyor

তিব্বতের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৬, আহতদের সংখ্যা প্রায় ২০০




৭ জানুয়ারি, ২০২৫: তিব্বতের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৬। আহতদের সংখ্যা প্রায় ২০০। অপরদিকে চিনের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পে ক্ষতি হয়েছে বহু বাড়ি ও রাস্তাঘাটেরও। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অ্যান্ড ইউনিয়ন মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্স অনুযায়ী ভূমিকম্পের এপিসেন্টার তিব্বতের পশ্চিম সিজাং -এ ৬:৩৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়।

তিব্বতে যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটা বিপজ্জনক শ্রেণির আওতায় পড়ে। চিনের ভূমিকম্প কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতে হওয়ায় স্বভাবতই সেখানে ধ্বংসলীলা চলেছে। চিনা ভূমিকম্প সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। আর তার ফলে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে এক ঘণ্টার মধ্যে একাধিক ‘আফটার শক’ অনুভূত হয়েছে।

এদিনের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কলকাতা-সহ গোটা দেশ। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। মঙ্গলবার সকাল ৬:৩৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭.১ ম্যাগনিটিউড। তিব্বত-নেপাল সীমান্তে ভূমিকম্পের উৎসস্থল দার্জিলিং থেকে ১৯২ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম, নেপালের লঘুচে থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে। কম্পন অনুভূত হয়েছে বিহার, দিল্লি, এনসিআর-এ।

চিনা সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩,০০০ এরও বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া নাগরিকদের সন্ধান ও উদ্ধার, হতাহতের সংখ্যা যত সম্ভব কম রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের যথাযথ থাকার ব্যবস্থা করা ও তাঁরা শীতে যাতে কষ্ট না পান তার ব্যবস্থা করার জন্য সব রকম উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্রাণ বাবদ ১০ কোটি ইয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ১১৭ কোটি টাকার বেশি) বরাদ্দ করেছে চিন সরকার। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২২,০০০ ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, তাঁবু, কোট, কম্বল, ভাঁজ করা বিছানা ইত্যাদি। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন চিনের ভাইস প্রিমিয়ার ঝাং গুওকিং।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page