top of page

প্রয়োজনে রাত জাগতেও তৈরী, কিন্তু কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা নিয়েই ময়দান ছাড়বেন- সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের




কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: নগরপালের ইস্তফার দাবি তুলে লালবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে বসে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে পুলিশের ‘ঠান্ডা’ লড়াই। বেলা দুটো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল লালবাজারের কাছে পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়৷ তখনই ব্যারিকেডের সামনে রাস্তার উপরে বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

এ দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল৷ মিছিলে জুনিয়র ডাক্তারেরা ছাড়াও রয়েছেন বহু সাধারণ নাগরিকও। মিছিলের মাঝেই হাতে হাত রেখে ব্যারিকেড গড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সবার মুখে মুখে একই স্লোগান, ‘ছিনিয়ে নিতে ন্যায়বিচার/ গোলাপ হাতে লালবাজার।’ আন্দোলনকারীদের কারও কারও হাতে গোলাপ, রজনীগন্ধার তোড়া। পৌঁছে পুলিশের হাতে ফুল তুলে দেবেন তাঁরা! ব্যারিকেডে পরাবেন ফুলের মালা- এমনই উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছিলেন। হাতে প্রতীকী ‘শিরদাঁড়া’ নিয়ে মিছিলে এক ছাত্রীকেও হাঁটতে দেখা গেল। কিন্তু লালবাজার অভিযানের সময় জুনিয়র ডাক্তারদের ফিয়ার্স লেনে আটকানো হয়।

বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, নগরপাল বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁদের মিছিল লালবাজারের কাছে বেনটিংক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চাইলে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷ পুলিশের এই প্রস্তাব অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, পুলিশ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে৷ আমরা একটানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নাইট ডিউটি করি৷ ফলে রাত জাগতে আমরা তৈরি৷ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার অশেষ বিশ্বাস। বললেন, ‘‘লালবাজারে এসে কথা বলুন।’’ কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা নিয়েই তাঁরা ময়দান ছাড়বেন। যতক্ষণ না পুলিশ কমিশনার ইস্তফা দিচ্ছেন, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ছাত্রদের মতোই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় পুলিশও। এখনও পর্যন্ত মানা হয়নি আন্দোলনকারীদের দাবি। ব্যারিকেডের ওপারে বসে পড়েছেন পুলিশ কর্তারা।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page