top of page

বৈঠক ‘ইতিবাচক’ হয়নি, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা




কলকাতা, ২১ অগাস্ট, ২০২৪: বৈঠক ‘ইতিবাচক’ হয়নি, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে জানালেন আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আরজি কর ও কলকাতার অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। বুধবার রাস্তায় নামেন হাজার চিকিৎসক। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে হেঁটে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে যান কয়েক হাজার জুনিয়র ডাক্তার। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে পড়েন তাঁরা।


আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি বাতিল সহ মোট কয়েক দফা দাবি নিয়ে এদিন স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেছিলেন ডাক্তাররা। ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য দফতরকে ১ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু তারপরও স্বাস্থ্য ভবনের কথা শুনে তাঁরা কার্যত হতাশ! স্বাস্থ্যভবনের তরফে বিষয়টি নিয়ে মৌখিক ভাবে ‘দেখা হবে’ বলে জানানো হয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকদের। এই দাবিগুলি নিয়ে তাই আগামী দিনে আন্দোলন চালিয়ে যাবনে বলেই জানালেন ডাক্তাররা।


গত ৯ অগস্ট আরজি করে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ স্বাস্থ্য সামনে রাস্তার ওপর বসে পড়েন কয়েক হাজার চিকিৎসক। পরে কয়েকজন প্রতিনিধিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় দফতরে। এরপরেই চিকিৎসকদের তরফে ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল ভেতরে যায়। স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক ‘ফলপ্রসূ হয়নি’ বলেই এদিন জানান তাঁরা।


আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যভবনের কাছে কয়েকটা দাবি জানিয়ে আসছি। এখানে আমরা বিচার চাইতে আসিনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। সিবিআই তদন্ত করছে। স্বাস্থ্য ভবন প্রশাসনিক জটিলতার দোহাই দেখিয়ে বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন।’ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবন দিয়েছিল, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। তাঁকে যাতে কোনও হাসপাতালে দায়িত্ব না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের সময় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের এবং হামলার দিন দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের অপসারণ করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমান নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে নিয়েও ক্ষোভের কথা জানান ডাক্তাররা। শেষ কয়েকদিন অধ্যক্ষ হাসপাতালেই আসছেন না, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের। তিনি উধাও হয়ে গিয়েছেন, তাঁরও পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। যদিও, স্বাস্থ্যভবনের তরফে এই বৈঠক সংক্ৰান্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page