top of page
Writer's pictureThe Conveyor

বক্সায় সমস্ত রিসর্ট, হোম স্টে বন্ধের জন্য নির্দেশ জারি করল বনদফতর




কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪: বক্সায় সমস্ত রিসর্ট, হোম স্টে বন্ধের জন্য নির্দেশ জারি করা হল। বৃহস্পতিবার থেকে এই মর্মে নোটিস জারি করেছে দপ্তর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে প্রবেশের মুখেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ফলত বড়দিনের আগে বিপাকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মধ্যস্থিত হোম স্টে, হোটেল মালিকরা।

কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে হোম স্টে ও পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই মাথার উপর। তবে আদালতের নির্দেশ যখন তখন সেটা মানতেই হবে। বক্সাজুড়ে রোজগার হারানোর আশঙ্কায় কয়েক হাজার মানুষ। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পরিবেশবিধি মেনেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে এই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ৫ মে গ্রিন ট্রাইবুনাল (ইস্টার্ন জোন, কলকাতা) পরিবেশপ্রেমী সুভাষ দত্তের করা মামলায় বক্সাতে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ীরা। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। এরপর কয়েকধাপে সেই স্থগিতাদেশের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রিন ট্রাইবুনালের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ৪ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আর বাড়েনি বলে দাবি বনদফতরের। এরপরই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে আদালতের নির্দেশ মেনে বক্সার মধ্য়ে যাবতীয় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ জারি করে।





তবে হোম স্টে মালিকদের দাবি, এই হোম স্টে গুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পড়ে না। এবং তাঁদের কাছে থাকা সার্কিট বেঞ্চের প্রতিলিপিতে বন্ধের কথা বলাও হয়নি। এক পর্যটন ব্যবসায়ী মানব বক্সি বলছেন, “হোম স্টে কোনও দিনই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পড়ে না। তাহলে হোম স্টে বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হল?”

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগের উপক্ষেত্র অধিকর্তা ড. হরিকৃষ্ণন বলেন, "কোর্টের নির্দেশ পালন করতেই আমরা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভেতর সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিস জারি করেছি। আদালতের নির্দেশ সকলকে মানতে হবে।”

এই রায় নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি পার্থসারথী রায়, “আমরা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। এই নির্দেশ অন্যায় ও বেআইনি।” পরিবেশপ্রেমী সুভাষ দত্ত এদিন বলেন, “আমার পিটিশনে হোম স্টের কথা ছিল না। আমি শুধু কোর এলাকায় রিসর্ট, নদী থেকে বালি, পাথর তোলার কথা বলেছিলাম। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশকে হাতিয়ার করে হাওয়া গরম করতে চাইছে বনদফতর।”

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page