বছর শেষে ফের নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন শ্যাম বেনেগাল
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪: প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। আজ সন্ধে ৬টা বেজে ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক। বহু দিন ধরেই বা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এ ছাড়া কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল। পরিচালকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে পিয়া বেনেগাল। তবলার মায়েস্ত্রো জাকির হোসেন এর মৃত্যুর দিন কয়েক পরেই ফের এই নক্ষত্রপতন বছরের শেষকে ভারাক্রান্ত করে তুলল।
বলিউডের ‘শো-ম্যান’ রাজ কাপুরের সঙ্গে একই দিনে ১৪ ডিসেম্বর জন্ম। ৯০ বছর পূর্ণ করেছিলেন তিনি। এই দিনটি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন পরিচালক। এ বছর তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কুলভূষণ খরবন্দা, নাসিরুদ্দিন শাহ, দিব্যা দত্ত, শাবানা আজমি, রজিত কপূর, অতুল তিওয়ারি। ছিলেন শশী কপূরের পুত্র কুণাল কপূর। কাজের মধ্যেই ছিলেন শ্যাম বেনেগাল। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস-এর জন্য হাসপাতালে যেতে হত তাঁকে। কিন্তু ছবির কাজ থামেনি তাতেও। ২০২৩-এ মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন’। চলতি মাসে জন্মদনের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই বুড়ো হয়ে যাই। জন্মদিনে আমি ভালো কিছু করি না। এটি একটি বিশেষ দিন হতে পারে তবে আমি এটি নির্দিষ্টভাবে উদযাপন করি না।
চলতি বছরের শুরুতে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র নির্মাতার অন্যতম বিখ্যাত কাজ 'মন্থন'। নাসিরুদ্দিন শাহ এবং প্রয়াত অভিনেতা স্মিতা পাতিল অভিনীত এই ছবি ভারতীয় সিনেমার এক সম্পদ। চলচ্চিত্রটি ১৯৭৭ সালে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিল। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী ও ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও পান তিনি।
‘মন্থন’, ‘জুনুন’, ‘আরোহন’, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো’, ‘ওয়েল ডান আব্বা’, ‘মাম্মো’র মতো ছবি নির্মাণ করেছিলেন শ্যাম বেনেগাল। হিন্দি সিনেমার জগতে অন্য ধারার ছবি তৈরিতে জোয়ার এনেছিলেন শ্যাম বেনেগাল। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি অঙ্কুর। বিনোদন নয়, তাঁর চলচ্চিত্রগুলিতে সমাজের কঠিন বাস্তবতা চিহ্নিত হয়েছিল। শ্যাম বেনেগালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বলিউডে। অবশ্যই চলচ্চিত্র জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল তাঁর মৃত্যুতে।
Comments