মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ তুষার ঝড়ে স্তব্ধ জনজীবন
৮ জানুয়ারি, ২০২৫: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়া তুষার ঝড় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পূর্বাঞ্চলের বহু প্রদেশেও এর প্রভাব মারাত্মক। তাপমাত্রা কমেছে হিমাঙ্কের নীচে। প্রবল তুষারঝ়ড়ে বিপর্যস্ত পূর্ব ও মধ্য আমেরিকা। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ কোটিরও বেশি মানুষ। বরফে ঢাকা পড়েছে রাস্তা-ঘাট। বিগত এক দশকের মধ্যে প্রকৃতির এমন ভয়াবহ রূপ দেখেনি আমেরিকাবাসী। ইতিমধ্যেই ‘স্টর্ম ব্লেয়ার’ নামের ভয়ঙ্কর তুষারঝড়ের বলি হয়েছেন আমেরিকার পাঁচ নাগরিক।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, আমেরিকার মিশিগান, মিসৌরি, ভার্জিনিয়া-সহ বেশ কিছু রাজ্যে ঝড় আছড়ে পড়েছে। হাওয়া অফিসের সতর্কতা, তাপমাত্রা আরও নীচে নামবে। আমেরিকার সাতটি প্রদেশ মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, কানসাস, মিসৌরি, কেনটাকি এবং আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গোটা এলাকা ঢেকেছে বরফের পুরু চাদরে। গত রবিবারের পর থেকেই অতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তুষারঝড়। উত্তর মেরু থেকে প্রবল ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসা মেরুঝড় আছড়ে পড়েছে পূর্ব ও মধ্য আমেরিকার প্রদেশগুলিতে। নিউ ইয়র্কেরও বেশ কিছু অঞ্চলে তুষার ঝড় হয়েছে। কয়েক ফুট পর্যন্ত বরফের আস্তরণ তৈরি হয়েছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৩ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে।
কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর বরফের থেকে এখনই আমেরিকাবাসীর মুক্তি নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আমেরিকার একাংশ অন্তত এক সপ্তাহ বরফে মুড়ে থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তুষারঝড়ের দাপটে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা। প্রবল তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত উড়ান পরিষেবাও। তুষারঝড়ের দাপটে বাতিল হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বিমান। ৮০০ বিমান দেরিতে চলছে। নাজেহাল যাত্রীরা। স্কুল- কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘ফ্রস্ট বাইট’ থেকে বাঁচতে গায়ে চাপাতে বলা হচ্ছে একাধিক ঢিলেঢালা পশমের কোট। সতর্কতা হিসাবে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১৫ মিনিটের সময় বেশি বাইরে থাকলেই ফ্রস্ট বাইটের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Comentarios