top of page

যোগ্য- অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে এসএসসি! তাহলে এতদিন কী হচ্ছিল?




কলকাতা, ১১ এপ্রিল, ২০২৫: যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে এসএসসি৷ যেমনটা দাবি ছিল চাকরিহারাদের, তেমন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল আজ। সেই তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে বলে এ দিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে৷ এ দিন বিকাশ ভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ এসএসসি এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ১৩ জন প্রতিনিধি৷

বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'যোগ্য ও অযোগ্যর তালিকা আমাদের কাছে আছে। এসএসসি তিনবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে। সেই তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি নেই। কোনও অসুবিধা নেই। আমি এসএসসিকে জিজ্ঞাসা করেছি। এসএসসিরও কোনও অসুবিধা নেই। যোগ্য অযোগ্য়র যে তালিকা আছে সেটা তারা তুলে দিতে পারেন। সেখানে সমস্যা নেই।' আগামী ২১ এপ্রিল আইনি পরামর্শ নিয়ে সেই তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে৷ শুধু তাই নয়, চাকরিহারা শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়েও আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ তিনি বলেন, 'মিরর ইমেজ নিয়ে আইনি পরামর্শ নেব। সেটা সম্ভব হলে তুলে দিতে অসুবিধা নেই।' রিভিউ পিটিশনে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, 'আমাদের দুটো পার্টে আলোচনা হয়েছে। ‘আমরা যোগ্য ও অযোগ্য়দের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছি। তারা বলেছেন পরের রবিবারের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা তৈরি করবেন। সোমবার সেটা পাবলিশ করবে বলে জানিয়েছেন। ২২ লাখ ওএমআর পাবলিশ করার কথা বলেছি। তারা বলেছেন আইনি পরামর্শ নেবেন। সমস্যা না থাকলে সেটা পাবলিশ করবেন।’

তবে ওএমআর-এর মিরর ইমেজ তাদের কাছে নেই বলে এসএসসি-র পক্ষ থেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের জানানো হয়েছে৷ সিবিআই তদন্ত করতে গিয়ে আদালতে যে মিরর ইমেজ জমা দিয়েছে, আইনি পরামর্শ নিয়ে সেই মিরর ইমেজই এসএসসি-র কাছে রয়েছে৷ বৈঠক শেষে শিক্ষকরা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা থাকায় এখনই তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন না৷ তবে চাকরিহারা শিক্ষকরা বেতন পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় কাটেনি৷

এখন বিষয় হল, এতই যদি সহজ বিষয়, তাহলে এতদিন কী রাজ্য সরকার ঘুমোচ্ছিল? এতদিন ধরে ঝুলে থাকা একটা এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান আদালতে বেরোলো না কেন? কেন আদালতকে বলতে হল, গোটা প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিতে ভর্তি? দেখা যাক, সময় বলবে, রাজ্য সরকারের সমাধান কতটা আইনগতভাবে সঠিক! তবে অবশ্যই শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়া উচিত হবেনা বলেই মনে হয়। নইলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন, স্কুলে উপস্থিত হওয়া এবং পড়াতে যাওয়া শিক্ষকেরা।

 
 
 

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page