top of page
Writer's pictureThe Conveyor

শুধুমাত্র এমডি এবং এমএস ডিগ্রিধারীদের অ্যানাস্থেশিয়া ও অস্ত্রোপচার করতে পারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারেরা




কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫: স্যালাইন কাণ্ডের পর নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, মেদিনীপুর হাসপাতালে শুধুমাত্র এমডি এবং এমএস ডিগ্রিধারীরা অ্যানাস্থেশিয়া ও অস্ত্রোপচার করতে পারবেন। জুনিয়র ডাক্তাররা নন। ঘটনায় চিকিৎসায় বড় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তবে আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনে থাকা প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা এই অভিযোগ মানতে রাজি নন। তাঁরা চান, নিরপেক্ষ তদন্ত। এত পরে কেন স্বাস্থ্য দফতরের ঘুম ভাঙল? প্রশ্ন তুলেছেন দেবাশিস হালদাররা।

এই বিষয়টি নিয়েই পিজিটি দেবাশিস হালদার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‌চিকিৎসায় গাফিলতির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হোক। কিন্তু স্যালাইন নিয়ে আগে কেন তদন্ত হয়নি? প্রসূতি মৃত্যুর মতো ভয়াবহ ঘটনার পর স্বাস্থ্য দফতরের টনক নড়ছে। যে ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল সেই কোম্পানিকে গত ১০ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে একমাস পরেও সেই কোম্পানির স্যালাইন কেমন করে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা হল?‌ প্রশ্ন তোলেন তারা। রিঙ্গার ল্যাকটেট–সহ ১০টি ওষুধ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। এই নিষেধাজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দেবাশিস–সহ অন্যান্যরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‌হঠাৎ বলা হল ওই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। আর সরবরাহও করা হবে না। তাহলে এগুলির পরিবর্তে কী ওষুধ ব্যবহার করা হবে?‌ সেটাও জানানো হচ্ছে না। রাজ্যে তো সব চিকিৎসা বিনামূল্যে হয়। ওষুধও পাওয়া যায়। তাহলে রোগীদের বাইরে লাইন দিয়ে ওষুধ কেনার উপক্রম কেন?‌ জবাব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।’‌ দেবাশিসের অভিযোগ, গত ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে আরএল নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?‌ তদন্ত করে দেখা উচিত। আর সবই যদি সিনিয়র চিকিৎসকরা করেন তাহলে জুনিয়র ডাক্তারেরা কী শিখবে?‌

এদিকে মঙ্গলবারের পর বুধবারও স্যালাইন-কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীর ঘরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিআইডির দুই আধিকারিক। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে কয়েক জন চিকিৎসককে হাতে ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ (আরএল) স্যালাইনের বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শুধু চিকিৎসক, নার্স বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নয়, প্রসূতিদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছে সিআইডি।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গত শুক্রবার এক প্রসূতির মৃত্যুর পরেই তাঁকে দেওয়া আরএল স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার পরই স্বাস্থ্য ভবন একটি ১৩ সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করে। তারা তদন্ত করে প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি সিআইডি-ও এই ঘটনার তদন্ত করবে।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page